Runa Khan Instagram – এই গ্রামটার নাম ‘মসদই’
আমার দাদীবাড়ী..!
দাদাবাড়ী নয়..! দাদীর ই বাড়ী..!
আমার দাদী ‘রাবেয়া খানম’ তার বাবার একমাত্র মেয়ে ছিলেন, বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সব একমাত্র উত্তরাধিকার সুত্রে তিনি পান..
দাদী কে ‘দাদু’ ডাকতাম আমি..
আমার বাবা ছিলো পরিবারের বড়ছেলে..
আর আমি আমার বাবার পরিবারে প্রথম সন্তান !
‘দাদুবাড়ী’ বলতে আমি-আমরা সারাজীবন ‘মসদই’ কেই বুঝেছি,,
৯০ সালে আমার দাদী প্রয়াত হন..
কিন্তু আমার ৬-৭ বছরের শিশু-মনের স্মৃতিতে ‘রাবেয়া খানম’ – ‘সবুজ স্নেহ-ভান্ডারের মূর্তি 💚’
রাজেশ্বরীর নীচের ছবিদুটো ২০১৩ তে তোলা..
মেয়ের ৩ বছর বয়সে, নিজের উপার্জনের টাকায় মসদই এ এই জমি কিনেছি আমি..
আমার নিজের উপার্জনে প্রথম এবং একমাত্র বৈষয়িক-সম্পত্তি !
এদেশের বেশীর ভাগ মানুষ গ্রামের পর শহুরে জীবন কাটিয়ে শেষ জীবন ইউরোপ-আমেরিকার মত উন্নত বিশ্বে কাটানোর চেষ্টা-চিন্তা করে..
সেটাতেই হয়তো তাদের আরাম..😊
কিন্তু এই সবুজ ধান, হলুদ সর্ষে, বৃষ্টি ভেজা বেলেমাটির সুঘ্রান এমন ভাবে আমার মস্তিস্কের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে গেঁথে আছে, আমি কেবল এই সবুজ-হলুদের মাঝে ফিরে যেতে চাই..!
মেয়েটা নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে শিখে গেলেই..
আমি EW কে পোঁটলায় ভরে নিয়ে ‘রাবেয়া খানম’র ‘সবুজ-হলুদ ভান্ডারে’ গিয়ে ছোট্ট একখানা মাটির ঘর তুলে বসতি গড়বো..!
(শুরুতে EW অনেক ক্যাউ-ম্যাউ করবে.. 🙄
পোকা-পিঁপড়া..
উহুহহহ, লোকটা বারান্দায় পানের পিক ফেলে গেলো..!
দেখছো.. মুরগী হাগু করলো..!!
😡😡😡😡😡😡😡😡)
তবে বিশাল-বিশাল (!) এই সকল জটিলতাও আমি কাটিয়ে উঠতে পারবো আশা করি..
কারণ EW কে বশ করার মন্ত্র আমি জানি 🤡
আমি যেমন সবুজে জন্মেছি, সবুজে বড় হয়েছি, আমার পুরো মাথা জুড়ে সবুজ ..
EW র জন্ম-শৈশব-কৈশোর-প্রেম-যৌবন-সংসার-মধ্যবয়স-সাপ্তাহিক সান্ধ্যকালীন অবকাশ-আড্ডা..
সব এই শহরে ..!
এমন একটা লোককে পিঁপড়া,পানের পিক,মুরগীর হাগু’ র সাথে খাপ খাওয়ানো শেখাতে আমাকে তো একটু এফোর্ট দিতেই হবে, তাইনা..? 🤓
বুদ্ধির পর থেকে আমি আমার আশে-পাশের গুরুত্বপূর্ণদের জন্য এফোর্ট দিয়ে যাচ্ছি..🧐
বুড়া কালে গিয়াও এফোর্ট দেবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি..🧐
TZ বলে, আমার আশেপাশের সবার উচিত, আমার একটা স্বর্ণমূর্তি বানাইয়া ওদের পকেটে নিয়া ঘুরা..🙃
কেন যে, TZ এ মতন একটা মহাবিদ্যাসাগর-জ্ঞানী’র কথা ওরা সিরিয়াসলি নিচ্ছে না..!
ব্যাপারটা আমার বোধগম্য নয়.. 🤷♀️
ছোটবেলায় লিখতে না চাওয়ার কারণে আম্মার কাঁচাকঞ্চি’র বাড়ি যে কত খাইছি, তার হিসাব অকুলান..🙇♀️
আর বুড়োবেলায় আবোল-তাবোল লিখার জন্য হাত নিশপিশ করে..🤦♀️
একদিন এই সবুজে-হলুদে ফেরত যাবো…🍀
ব্যাস..
#runakhan | Posted on 17/May/2024 12:47:50